নরসিংদীর নজরপুরে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত – ২০।
নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট দানবীর ও সমাজসেবক ইসমাইল কোম্পানি গত উপজেলা নির্বাচনে কাপ পিরিচ মার্কার পক্ষে কাজ করেন এবং কাপ পিরিচ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
অপর দিকে একই এলাকার শাহজাহান মনা , রুস্তম আলী গং আনারস মার্কার পক্ষে কাজ করেন কিন্তু আনারস মার্কার ভরাডুবি হয়। তবে নজরপুর ইউনিয়ন থেকে আনারস মার্কা বিজয়ী হন।
এলাকায় শাহজাহান মনাদের আধিপত্য বেড়ে যায়।
গত ১৯ জুন সকাল ১০ ঘটিকায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভাড়া করে মনা বাড়ি ও কাজী বাড়ি মিলে ৫০০/৭০০ লাঠিয়াল বাহিনী দা , ছুরি লোহার রড ককটেল দেশীয় অস্ত্র , বন্দুক , পিস্তল নিয়ে ইসমাইল কোম্পানির লোকদের উপরে হামলা করেন এ হামলায় প্রায় ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত হয় রুহুল আমিন , রিকচান , সানি মিয়া , জিলানী , সুমন , দাউদ নবী। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সানি মিয়া এবং টেটায় জখম হন রুহুল আমিন।
আহতদের মধ্যে পাঁচ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বাকি আহতরা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং দানবীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল কোম্পানি আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান এ হামলার নেতৃত্ব দেন মনা বাড়ির পক্ষে শাহজাহান মনা , আলামিন , আজমল মনা , রুস্তম আলী , আওলাদ সরকার , শের আলী , আনোয়ার মনা , কাজি করিম গং। জানা যায় , এরা এলাকায় টেটা বাজ ও দুষ্কৃতকারী।বর্তমানে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে শাহজাহান মনার বক্তব্য নিতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আলামিন কাজি জানিয়েছেন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই মারামারি হয়েছে এবং ওই গ্রুপের আহত ২০ জন। নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।