December 11, 2024, 7:04 am
শিরোনামঃ
কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগ নেতা পিয়ার আলীর কমেনি দাপট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস নওগাঁ দেলুয়াবাড়ী-চৌবাড়ীয়া আঞ্চলিক বাঁকাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ২ জন আহত চট্টগ্রামে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে চট্টগ্রামে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় বক্তারা মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান মাইজভান্ডারী তরিকার অন্যতম অনুঘটক সৈয়দ আমিনুল হক ওয়াসেল (ক.) ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মো. কামাল উদ্দীনের প্রবন্ধ: পরিবেশ ও মানবাধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বন্দরে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রশাসনের অভিযান

ঝিনাইদহ সহ 28 টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার।

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার

ঝিনাইদহ সহ 28 টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার।

বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার এখন দেশের ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপটি সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এক সময় বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে পদ্মাতীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভয়ংকর সাপটি। উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও এর দেখা মেলে। গেল দুই সপ্তাহে এ সাপের কামড়ে কয়েকজন মারাও গেছেন। ভয়ঙ্কর এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে উদ্বেগজনকহারে।
পৃথিবীতে বিষধর সাপ হিসেবে রাসেল ভাইপারের অবস্থান পাঁচ নম্বরে হলেও হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে এর অবস্থান প্রথমে। এরা আক্রমণের ক্ষেত্রে এতই ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ের ভেতরে কামড়ের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এই বিষধর সাপটি এতোই বিদজনক যে নিজে থেকে ছুটে এসে আক্রমণ করে মানুষকে। বিষ প্রয়োগে সময় নেয় এক সেকেন্ডেরও কম। কোনো অ্যান্টি ভেনম নেই। সাপটির বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।
এই বিষধর সাপটি বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন।
এখন পর্যন্ত দেশের ২৮টি জেলায় রাসেল’স ভাইপারের অবস্থান, কামড়, মৃত্যু ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়। জেলাগুলো হলো নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম।
ধারণা করা হয়, ২০০৯ সালে ফারাক্কার সব বাঁধ খুলে দেয়ায় বিহারসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকার নদী অববাহিকা ধরে বাংলাদেশে রাসেল’স ভাইপার নতুন করে প্রবেশ করে। সেসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ি (যে অংশে পদ্মা নদীর প্রবেশ) এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে সাপটির দেখা মেলে। সাপটির কামড়ে কয়েকজন মারাও যান তখন। রাসেল’স ভাইপার নিয়ে শুরু থেকেই গবেষণা করছেন রাজশাহীর সাপ বিশেষজ্ঞ বোরহান বিশ্বাস রোমন।
গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা