দলীয় কোন্দলের কারণে শিলমান্দী মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ।
নরসিংদীর শিলমান্দীতে দলীয় কোন্দলের কারণে শিলমান্দী পূর্বপাড়া শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ প্রায় তিন বছর। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১৭ সালে সামাজিক বন্ধন ও যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে সামাজিক মসজিদটি।তথ্য সূত্রে শিলমান্দী পূর্বপাড়া শাহী ঈদগাহ সভাপতি আলমগীর হোসেন রাজু বলেন মানব জীবন অনিত্য কখন যে মৃত্যুর করাল গ্রাসে পতিত হই তাহার কোন ইয়ওা নেই,তাই জীবিত অবস্থায় পরম করুনাময় আল্লাহ তা’আলার নিকট হইতে ইহকালের ও পরকালের আত্বার শান্তির লক্ষ্যে ও মুক্তিলাভের জন্য, শিলমান্দী মৌজায় শিলমান্দী নিবাসী মরহুম আবদুর রহমান এর পুএ মিজানুর রহমান এস.এ.২০১খতিয়ানে এবং আর.এস.১১৫৮নংখতিয়ানে রেকর্ড মূলে মালিক থাকিয়া ভোগ দখলে থাকাবস্তায় মৃত্যুবরণ করিলে তদীয় সম্পওিতে আমরা অএ দলিলের ১নং হইতে ৩নং দলিল দাতা ও দাএীগণ উক্ত মৃত মিজানুর রহমান এর ঔরসজাত পুএ ও কন্যা সন্তান হিসাবে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক এবং আমি অএ দলিলের ৪নং দলিল দাএী মিজানুর রহমান এর সহধর্মিণী স্বামীর সম্পওিতে মালিক থাকিয়া ৪ঠা জুলাই ২০১৭
নরসিংদী সদর সাবরেজিস্টার অফিসে ০৪ শতাংশ জমি যাহার মূল্য ২,৫০,০০০/ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) খালেছ উদ্দেশ্য বা নিয়ত জ্ঞাপন করিয়া একটি লিখিত ওয়াক্ফানামা দলিল করিয়া দেই।এবং শিলমান্দীর বিশিষ্ট দানবীর মৃত হাজী রুস্তম আলী ১২ শতাংশ জমি মসজিদে দান করেন। আলমগীর হোসেন রাজু আরো বলেন আউয়াল এবং আল আমিন দুইজনে দুই লক্ষ টাকা মসজিদে দান করেন। নিজেদের উদ্যেগে এবং বাহিরের অনুদানে গড়ে উঠে সামাজিক মসজিদটি।পরবর্তীতে বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন ১০ শতাংশ জমি মৃত হাজী রুস্তম আলীর সুযোগ্য সন্তান মৃত মোর্শেদ এর কাছ থেকে ক্রয় করে মসজিদে দান করেন। আলমগীর হোসেন রাজু বলেন মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে কিছু অসাধু ও দুষ্কৃতকারী লোক হিংসার চোখ দেয় পদ লোভে বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে।আলমগীর হোসেন রাজু বলেন মসজিদের বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেন বেশিরভাগ সময়ই ঢাকা থাকেন, সূএে মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ মসজিদে বিদ্যুৎ এর বিঘ্ন ঘটে। প্রথমাবস্থায় আলমগীর হোসেন রাজু মসজিদ কমিটির সভাপতি থাকলেও দুষ্কৃতকারী লোকদের ষড়যন্ত্রে স্বীকার হয়ে তিনি সভাপতি পদ হইতে পদত্যাগ করেন। তিনি আমাদের গণমাধ্যম কর্মীকে জানান এহেন কর্মকাণ্ড তিনি নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না,কে বা কারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে। আলমগীর হোসেন রাজু বলেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও দলিলে উল্লেখিত মোতওয়াল্লীর ঘোষণা মোতাবেক আমি মসজিদে উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে উজাড় করতে চাই। আমার সভাপতির পদ লাগবে না সমাজের ভালো এবং মানুষের উপকার করতে পারাটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি আমাদের গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন তাদের নিজস্ব স্বার্থে মসজিদ উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকার কারণে প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়,ও মসজিদ ফান্ডের টাকার কোনো হিসেব নেই, এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম কর্মী বর্তমান ক্যাশিয়ার সাহেব জনাব সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি মসজিদ ফান্ডের টাকা থেকে এক লক্ষ পচিঁশ হাজার টাকা নিয়েছি পঁচাশি হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দেই আর আমার কাছে চল্লিশ হাজার টাকা রয়েছে কিছুদিন পর ফেরত দিয়ে দিবো। তিনি আরো বলেন সেক্রেটারি কবির হোসেন আমার কাছ থেকে প্রথমে পয়তাল্লিশ হাজার টাকা ও পরে সাত হাজার টাকা মোট বায়ান্ন হাজার টাকা মসজিদের নির্মান কাজের জন্য নেয় শুধু এক গাড়ি ইট এনে দেয় আর বাকি টাকা তার কাছে রেখে দেন এখোনো টাকা ফেরত দেননি।
এবং সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন গত বছর ( ২০২৩ ) কোরবানি ঈদের ৪/৫ আগে ফোন দিয়ে বলেন তার বড়ো ভাইয়ের কাছে যেনো সাত হাজার টাকা দিয়ে আসি আমি তার হুকুম মোতাবেক টাকা দেই এক বছর হয়ে গেলেও গেলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি।
( চলমান )