: নোয়াখালীর কোম্পানীঞ্জে চরএলাহী ইউনিয়নে স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে (২১) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে উপজলোর চরকলমি গ্রাম থেকে ফারজানার মরদেহ উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুস সুলতান মরহেদ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিতি করেন।
নিহত ফারজানা আক্তার ওই গ্রামের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বশির উল্যাহ মেয়ে।
এ ব্যাপারে বশরি উল্যাহ অভিযোগ করে জানান, ৫—৬ বছর আগে চরকলমি গ্রামরে সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে ফারজাহানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থকে একাধিক নারীর সঙ্গে জহিরের পরকিয়ার ঘটনা জানতে পারি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা জহিরুলের মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বশরি উল্যাহ ও তার ছেলে এসে স্বামী—স্ত্রী দুজনকে মিলিয়ে দেন।
এ বিষয় অভিযুক্ত জহিরুলের বাবা সিরাজুল ইসলাম তাদের ছেলে ও পুত্রবধুর ধীর্ঘ দিনের ঝগড়ার কথা স্বীকার করে জানান, তার প্রথম স্ত্রী’র মৃত্যুর কারণে তার ছেলেরা আলাদা থাকেন। রাত আনুমানিক ৩টায় জহিরুল তার ঘরে চিৎকার দিতে থাকলে তারা গিয়ে এবং ফারজানাকে ঘরে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে ফারজানাকে নামানোর পর স্থানীয়দের খবর দিলে জহিরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
পুলশি পরর্দিশক (তদন্ত) মো. আবদুস সুলতান বলনে, নিহত ফারজানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্ব আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।