মধু সংগ্রগহ করতে গিয়ে বাগের হাটের পুর্বসুন্দর বনে কুমিরের আক্রমণে মোশারেফ হোসেন গাজী (৫৫) নামে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের এর অধীন করমজল খালে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত মৌয়াল খুলনার দাকোপের বানিশন্তা ইউনিয়নের ঢাংমারী গ্রামের আমির আলী গাজীর ছেলে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,সুন্দর বনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজানন কার্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পযন্ত তিন মাসের জন্য বনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই সময়ে
মাছ,কাকড়া, মধু আহরণ সহ সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ ও নিষিদ্ধ।
শনিবার সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মোশাররেফসহ বন সংলগ্ন গ্রামের কয়েকজন মধু সংগ্রহের জন্য অবৈধভাবে ঢাংমারি এলাকা দিয়ে বনে প্রবেশ করে। করমজল খাল দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কুমির ওই মৌয়ালকে টেনে নিয়ে যায়। ঢাংমারী নদী সুন্দরবন থেকে গ্রামকে আলাদা করেছে। সেই নদী পাড়েই বাড়ি নিহত মোশারেফের ।
ঢাংমারী এলাকার স্হানীয়রা বলেন, ‘মূলত বন বিভাগের কর্মীদের চোখে ধরা না পড়তে তারা নৌকা ছাড়াই সাঁতরে বনে ঢুকে। দুপুরে জোয়ার ছিল, তাই পানিও বেশি ছিল। সাঁতরে খাল পাড়ি দিতে গিয়ে যখন কুমির আক্রমণ করে তারা পায়ের নিচে মাটি পায়নি। তাই আর কুমিরের মুখ থেকে ফিরতেও পারেনি। নৌকা নিয়ে বনে গেলে হয়তো তাদের এই বিপদ হতো না।’ সুন্তরবন পুর্ব বনবিভাগের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজানন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘অবৈধভাবে নদী পেরিয়ে তারা সাঁতরে সুন্দরবনের ভেতরে এসেছিল। করমজল খাল পাড়ি দেওয়ার সময় কুমির তাদের ওপর আক্রমণ করে। তিনজন ডাঙায় উঠতে সক্ষম হলেও কুমিরের আক্রমণে মোশাররেফ হোসেনের মৃত্যু হয়। তাকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। পরে অপর মৌয়াল ও স্থানীয়রা মিলে খাল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।’