ঝিনাইদহ আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায় মহাসীন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
মহাসিন ঝিনাইদহ শহরে অগ্নিবীণা সড়কে সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড নামে কোম্পানি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানা যায়। মহাসিন কাহারো মোটরসাইকেল দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আবার কাউ কে মোটর গাড়ির চেসিস দেওয়া বলে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আবার কাউকে টিভি ফ্রিজ দিবে বলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। এভাবে শত শত মানুষকে ঠকিয়ে মহাসিন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে বলে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তিরা তার নামে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেছে যাহার বিবারণ কালী সিআর৫৪ /২২ নম্বর মামলায় তিন বছর সাজা হয়েছে।
কালিসিয়ার 120 / 22 এসসি ৮২২ নম্বর মামলায় এক বছর সাজা হয়েছে এবং ১৭৭ /২২ নম্বর মামলায় দুই বছর সাজা হয়েছে এবং ১৭৮/২২. ২০৫/২২ ১৯৮/২২মামলাগুলো বিচারাধীন আছে এতগুলো মামলায় সাজা হওয়ার পরও পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করছে না ভুক্তভোগী জনগণের প্রশ্ন।মহেশপুর থানায় যোগাযোগ করলে সন্তুষ্ট জনক কোন উত্তর পাওয়া যায় না মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করে না। ইতিপূর্বে মহাসিন র্যাব কর্তৃক ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং কুষ্টিয়া জেল হাজতে কিছুদিন ছিল। এরপর জাবিনে মুক্তি পেয়ে মহসিন সাহেব আর কোন আদালতে হাজিরা দেন না অথচ পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছে না ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন। প্রতিবেদক মহেশপুর উপজেলায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে এই মহাসিন এক সময় বাইসাইকেলে করে ভাজা বিক্রি করে বেড়াতো। সেই মহাসিন সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড নামে কোম্পানি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে।ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করেও মহসিন এর কাছ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ নিতে পারছে না। পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছা করলে এই মহসিন চিটার কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করতে পারত।কিন্তু আদালত সাজা ঘোষণা করার পরেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছে না। বিষয়টা কি? মহসিন সাহেব অনেক ক্ষমতার মালিক না টাকা দিয়ে দফারফা করছে প্রশাসনের সাথে । ভুক্তভোগীদের চাওয়া পুলিশ প্রশাসন যদি সাজা প্রাপ্ত আসামি মহসিনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পোষাতে পারবে।