July 11, 2025, 3:39 pm
শিরোনামঃ
নওগাঁর মুক্তির মোড়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল। বিয়ের ৩১ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করলেন সাংবাদিক কাইসার হামিদ ও রোকেয়া আক্তার দম্পতি। বাগেরহাট কচুয়ায় ইউএনও বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন । টানা বর্ষণে উপড়ে পড়ল ৩০ বছরের পুরনো গাছ। কালিয়াকৈর অজ্ঞাত অর্ধগলিত যুবকের মরাদেহ উদ্ধার। রাজবাড়ীর পাংশায় কলেজের ওয়াশরুমে ধ`র্ষ`নে`র অভিযোগে ধ`র্ষ`ক গ্রে`ফ`তার। গোপালগঞ্জে ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলেন ডিএসবির এএসআই মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির বীরগঞ্জের সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি, হতাশ অভিভাবকরা। নরসিংদীর মাধবদীতে ১২ লক্ষ টাকার গাঁজা সহ গ্রেপ্তার দুই । বীরগঞ্জে জমি বিরোধের জেরে কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা দায়ের।

কালীগঞ্জে কোরবানিযোগ্য পশু চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ।

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য পশু চাহিদা রয়েছে ২৭ হাজার ৮৭ টি।চাহিদার বিপরীতে কোরবানিযোগ্য পশু বর্তমান এই উপজেলায় সর্বমোট ৫৩ হাজার ৮২৯ টি।অর্থাৎ কুরবানীর জন্য উপজেলায় উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা হলো ২৬ হাজার ৭৪২ টি। ২০২৪- এ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পুরোদমে কোরবানির পশুর যত্ন নিচ্ছেন এ উপজেলার খামারীরা। ঈদ সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে পশু মোটাতাজাকরণ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর মধ্যে ষাড় ১৪ হাজার ৭৯ টি,বলদ ২ হাজার ৪২৭ টি,গাভী ১ হাজার ৮১৩ টি,মহিষ ১১৫ টি,ছাগল ৩৩ হাজার ৯৮৭ টি, ভেড়া ১ হাজার ৪০৮ টি। পশু খাদ্য বা গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকার খামারীরা ও বিভিন্ন কৃষি পরিবার তারা গরু ও ছাগল প্রস্তুত করছেন কোরবানির জন্য।
এই উপজেলায় গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণ খামারের সংখ্যা হলো ৩ হাজার ৩৩৭ টি। এবছর উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারিরা যে গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন তা স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটেয়ে উদ্বৃত্ত সংখ্যক পশু চলে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ।নিরাপদ গবাদি পশুর মাংস উৎপাদনে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল খামারিদের নানাভাবে সহায়তা প্রদান করে। কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ও গাজীর বাজার নামক স্থানে দুইটি বড় পশুর হাট বসে। এই উপজেলার অধিকাংশ পশু এই দুই হাটসহ ছোট কয়েকটি হাটে তাদের পশু কেনা বেচা করেন। কোরবানি সামনে রেখে বারোবাজার ও গাজির বাজারের পশুর হাটে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার খামারি ও পশু ব্যবসায়ীদের নিয়ে আসা পশুতে হাট জমজমাট হয়ে ওঠে। উপজেলার মহেশ্বরচাদা গ্রামের গরুর খামারী মোঃ আল আমিন বলেন, আমি কাঁচা ঘাসসহ ন্যাচারাল খাদ্য খাওয়াইয়ে গরু লালন পালন করে আসছি। এবছর খামারে কোরবানি জন্য বেশ কিছু গরু আছে। এরমধ্যে কয়েকটি ষাড় গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করেছি। গরু পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। আশা করি আমি লাভবান হবো।
পৌর এলাকার হেলাই গ্রামের গরু খামারী আব্দুল্লাহ তুহিন বলেন, তিন বছর আগে আমার পালনকৃত গাভী থেকে একটা ব্রাহামা জাতের বাছুর জন্ম হয়। গত তিন বছর ধরে তাকে লালন-পালন করে এবার কোরবানিতে বিক্রির উপযোগী হয়েছে। কাঁচা ঘাস ও শুকনা খড় খেয়ে ষাড়টি বেড়ে উঠেছে। এবছর কোরবানির হাটে গরুটি বিক্রি করে লাভবান হব । মাজদীয়া গ্রামের এজাজ নামে আরেক খামারী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমার খামারে গরু কম আছে। তারপরও কোরবানির ঈদে গরুর দাম ভালো হলে বিক্রি করে দেব। পরে নতুন করে বাছুর এনে পালন করবো।কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল করিম বলেন, এবছর কোরবানিতে পশু চাহিদার থেকে বেশি প্রস্তুত আছে।প্রস্তুতকৃত এইসব পশু স্বাস্থ্যসম্মত। আমরা গরু-ছাগলের খামারসহ গেরস্তদের পশুগুলোর প্রতিও খোঁজখবর নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।একই সাথে খামারির উৎপাদন খরচ কমিয়ে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য প্রাণী পুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাকসই প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার সকল খামারিদেরকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা
Skip to toolbar